সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে ট্রাম্পের পোস্ট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের উৎকণ্ঠা
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে ট্রাম্প এক্সে (সাবেক টুইটার) যে পোস্ট করেছেন তা নিয়ে গভীর উৎকণ্ঠা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি একটি সংগঠন।
ইউএস-বাংলাদেশ ইউনিটি ইনিশিয়েটিভ (ইউবিইউআই) নামে সংগঠনটি গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে এই উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছে। বিবৃতিটি তারা যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় কমিটি এবং সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কাছেও জমা দেবে বলেও জানিয়েছে।
বিবৃতি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশিরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে ভুল তথ্য বিস্তারের কারণে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর বড় আকারের হামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দাবি সম্পর্কে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার কারণে তারা উদ্বিগ্ন।
এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এই ধরনের ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং মিথ্যা আখ্যান লাখ লাখ আমেরিকানের কাছে পৌঁছে গেছে, যা বাংলাদেশের একটি চিত্র তুলে ধরেছে যা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি আমেরিকান হিসাবে আমরা আমেরিকান জনগণের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সঠিকভাবে এবং সত্যতার সাথে উপস্থাপন করার দায়িত্ব বোধ করি। এর মাধ্যমে আমরা দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা এবং ঐক্য উন্নীত করার আশা করি।
‘এমন খবর প্রচারিত হয়েছে যে, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুরা শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ব্যাপকভাবে আক্রমণ-নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু এই দাবিগুলো আজ বাংলাদেশের মাটিতে বিভ্রান্তিকর চিত্র এঁকেছে।
‘শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ও পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে এবং আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যেন এসব ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হয়।
‘যাইহোক, মি. ট্রাম্প ও অন্যদের দাবির বিপরীতে যারা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য পদ্ধতিগত প্রচারণা চালাচ্ছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া যারা সাম্প্রতিক হামলার তদন্ত করেছে, তারা এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িত বলে মনে করেছে।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিয়েছে। সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। বাংলাদেশি আমেরিকান সম্প্রদায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছে এবং প্রতিটি ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য সরকারের উপর চাপ বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে।
‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই আদর্শের প্রতি দেশের অঙ্গীকারকে মূর্ত করেছেন। ড. ইউনুস একজন বিশ্ববিখ্যাত মানবতাবাদী, অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। ক্ষুদ্রঋণ প্রদান এবং দরিদ্রদের অধিকার রক্ষায় তার অগ্রণী কাজের জন্য স্বীকৃত। তার পথনির্দেশক দর্শন এই বিশ্বাসের উপর কেন্দ্রীভূত যে, সব মানুষ, পটভূমি-নির্বিশেষে, তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করার সুযোগ পাওয়ার অধিকারী। ড. ইউনূসের ক্রান্তিকালীন সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত।
‘বাংলাদেশের সুশীল সমাজ মানবাধিকারের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সজাগ রয়েছে। বাংলাদেশ যখন এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল পার করছে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জটিল গতিশীলতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ ও নিপীড়নের ভিত্তিহীন বিবরণ একটি সমগ্র জাতিকে কলঙ্কিত করে এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে হ্রাস করার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
‘আমরা শ্রদ্ধার সাথে সমস্ত ব্যক্তিকে, বিশেষ করে অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সরকারি কর্মকর্তাদের, বস্তুনিষ্ঠ উৎস থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য খোঁজার জন্য এবং গুরুত্ব খতিয়ে দেখার জন্য, পরিস্থিতিটিকে এর সঠিক প্রেক্ষাপটে দেখার অনুরোধ করছি।
‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক (inclusive) গণতন্ত্রের দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সাফল্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন স্বার্থের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিপজ্জনক বিকৃতির পরিবর্তে সত্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
বিবৃতির পক্ষে যাদের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে:
রুমি আহমেদ খান এমডি এফসিসিপি
শাহেদ আলম
ইলোরা শেহাবুদ্দিন পিএইচডি
মোঃ এহতেশামুল হক
ফারহানা সুলতানা, পিএইচডি
মোঃ রাশেদ, এনওয়াইপিডি
মোহাম্মদ মিয়া, পিএইচডি
রেজওয়ান উর রহমান, এমবিএ
শাহ চৌধুরী, এমবিএ
আসিফ আহমেদ
এইচ শাহাদ মুন্না, পিই, সিএফএম, এনভি এসপি
মোঃ জোবায়ের বিন আলম, পিএইচডি, পি.ই. এম. এএসসিই
মোহাম্মদ এইচ রশিদ, পিএইচডি
মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, এমডি, এফএসিপি
আশরাফুল হান্নান পরাগ
মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম, ডি.ইঞ্জি
শাফায়াত আহমদ
মোঃ রিয়াজ উদ্দিন
আমিনুর রশীদ চৌধুরী
মইনুল হোসেন রাহাত
শারমিন বানু
মুনা হাফসা
মোহাম্মদ আল মাসুদ
আরিফুল ভূঁইয়া
সালাম আজাদ, পিএইচডি
মাহমুদুল খান আপেল
আবুল কে সারোয়ার
ডাঃ গুলজার হোসেন
ড. এস এম সরওয়ার রহমান
বদরুল হায়দার
মোহাম্মদ ইসলাম তুষার
নাসিম উদ্দিন
তাহসিন আসকার
তারেক উজ জামান
রেজওয়ানুল কবির
সৈয়দ মশিউর রহমান
মোস্তাকুর সরকার
তারিক এ হাসান
মোহাম্মদ কবির
তৌফিক হায়দার
আহসান ইসলাম
মোঃ জাহিদুর রহমান
ইব্রাহিম আহমেদ পিএইচডি
গালিব হাসান
শেখ জে ইসলাম
ডাঃ রুহুল আমিন মুন্সী
মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
নসরুল ইসলাম সোহান
সাইফুর রহমান মিঠু
ডিনার এম. ইসলাম
জাফরি শামীম
সাজ্জাদ চৌধুরী
আশরাফুল হক
মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন
সাব্বির আশরাফ
ওশিমা শিমু
কাজী সাদিদ, পিএইচডি, পিই, সিএফএম
কামাল শাহারিয়ার
জাহিদ দেওয়ান শামীম ডা
ড. মুজিবুর আর মুজুমদার
কামাল ইউ সাঈদ
ড. মোস্তাফুজুর রহমান টিংকু
ড. ইব্রুল এইচ চৌধুরী
ড. খন্দকার এম রহমান
রওশন হক
ড. খায়রুল বি সিদ্দিক
ড. নিয়াজ মুহাইমেন
ডাঃ তাহকীক জামান
আবদুল্লাহ চৌধুরী
হাসান চৌধুরী
ইঞ্জি. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী
শামসুল ইসলাম
সাইদুল হক
ড. নুরসারত আহমেদ
ড. মাহাবুবুর রহমান
ড. জাকির হোসেন
জয়নাল আবেদীন
আরিফ হোসেন
সোলায়মান চৌধুরী
ইঞ্জি. শিবলে
ইঞ্জি. মোহাম্মদ এশান
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন
মোহাম্মদ রানা
সানজিদা আহমেদ
আবদুস সামাদ
ড. সাঈদ খালেদ
ড. আশরাফুল হক
ড. ফেতামা হক
ড. মোহাসিনা রহমান
ড. তারিক নাসের
ড. শুরুভি জাফর
ড. আজাদ আমিন
ড. ইশরাত আরা