৬ দিনের রিমান্ডে আমির হোসেন আমু, আদালতে হট্টগোল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইমরান আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আদালতে হট্টগোল
আদালতে রিমান্ড শুনানিতে আমির হোসেন আমুর রিমান্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। এ সময় আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী তার বক্তব্যটি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন। তখন উত্তেজিত হয়ে আদালতে উপস্থিত অন্য আইনজীবীরা তাকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে শুনানি চলাকালে আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনো ব্যবস্থা নেননি। এখানে কোনো ন্যায়বিচার নেই। আমি এর বিচার চাই।
এর আগে রিমান্ড শুনানিতে আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমু শেখ হাসিনার বাপকে বিপথে নিয়েছিলেন। একইভাবে শেখ হাসিনাকে বিপথে নিয়ে গেছেন। তিনি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ১৪ দল নিয়ে মিটিং করেন। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, যেকোনো মূল্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমাতে হবে। তারা এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই, বাংলাদেশে কোনো শেখ হাসিনা বা ফ্যাসিস্ট আর তৈরি না হোক। আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। এদের বিচার হলে এই দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট দল আসবে না।
আদালতে আইনজীবীদের হট্টগোলের পর তাদের উদ্দেশে আমির হোসেন আমু বলেন, আইনজীবীরা ভাই ভাই, মিলেমিশে থাকা উচিত। এখনকার পরিবেশ কিন্তু সবসময় থাকবে না। এ সময় ফের উত্তেজিত হয়ে ওঠেন আইনজীবীরা। পরে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের সন্ধান পায়। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে তিনি এই অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদক তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।