৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে চিঠি পাঠিয়েছিল আদানি পাওয়ার। ২৭ অক্টোবরের ওই চিঠিতে সতর্ক করা হয়েছিল, বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
পরে তারা সময় বাড়িয়ে ৭ নভেম্বর করেছে। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ এ বিষয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত না জানালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে আদানি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এমন খবর এসেছে।
বর্তমানে আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের দেনা প্রায় ৮৫ কোটি ডলার। এই বকেয়ার কারণে তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, আদানি বৃহস্পতিবার রাতে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুতের ঘাটতি অনুভব করেছে। আদানি ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিত বাংলাদেশকে। বৃহস্পতিবার থেকে দিচ্ছে ৭০০ মেগাওয়াট।
আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড লিমিটেড (এপিজেএল) আদানি পাওয়ারের একটি সহযোগী সংস্থা। ঝাড়খন্ড লিমিটেড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জুলাই থেক আদানির চার্জ সাপ্তাহিক ২.২ কোটি ডলার বেড়েছে। ফলে বকেয়া বেড়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর আদানি বাংলাদেশের পরিবর্তে ভারতের বাজারে বিদ্যুৎ বিক্রির চেষ্টা করেছে বলে খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টাইমস। তাদের খবর অনুযায়ী, ভারতে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বিল পরিশোধ নিশ্চিত থাকায় আদানি একে নতুন সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে। ইতোমধ্যেই বিহারের একটি সাবস্টেশন থেকে স্থানীয় গ্রিডে সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডলারের ঘাটতির কারণে বাংলাদেশকে জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে বছর জুড়ে ভুগতে হচ্ছে।