চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন।
আজ (রবিবার, ৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
ভোটের সাড়ে তিন বছর পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে তিনি মেয়র হন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সিসিসি নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র হন নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি। ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।
গত ৫আগস্ট ক্ষমতার পালা বদলের পর গত ১ অক্টোবর সেই মামলার রায় দেন চট্টগ্রামের নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন। তিনি শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, “এ শপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ শপথ অনুষ্ঠিত হলো বিপ্লবোত্তর সময়ে।” তিনি বলেন, “এ সরকার রুটিন কেয়ারটেকার সরকার নয়।” এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণ করেন।
তার ভাষায়, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমানত হিসেবে এ সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা ট্রাস্টি, বেনিফিসিয়ারি হচ্ছে সারাদেশের মানুষ।”
নতুন মেয়রের উদ্দেশে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, “নতুন মেয়রকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, তিনি একটি বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের একটি প্রধান নগরীর মেয়র হয়েছেন। তার দায়িত্ব এ বিপ্লবের প্রত্যাশাকে এগিয়ে নেওয়া।”
মেয়র শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।” তিনি বলেন, “সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি—এই নির্বাচনি ইশতেহার পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।”