প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৩ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জেল হত্যা দিবস পালনসহ তিনদফা দাবিতে স্মারকলিপি দেবেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। আগামীকাল রবিবার ৩ নভেম্বর তিনি এই স্মারকলিপি দেবেন। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোহেল তাজ এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোহেল তাজ বলেন, রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে রবিবার বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করবেন তিনি। পরে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন।  

এর আগে গতকাল শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দেন সোহেল তাজ। সেখানে তিনি লেখেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেল। অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!

তিনি তিনটি দাবি তুলে ধরে লেখেন, যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সোহেল তাজ আরও লেখেন, আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক। এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেব এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব। এই সমাবেশে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।