গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণভবনে জুলাই-আগস্ট জুড়ে সারাদেশে পতিত আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্রও থাকবে। পরে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ জাদুঘর সংরক্ষিত থাকবে।’
এর আগে গণভবনকে ছাত্র-জনতার ‘গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর’- এ রূপান্তরের পরিকল্পনার কথা জানান নাহিদ ইসলাম। এতে ফ্যাসিবাদের নিদর্শন সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, আমরা পৃথিবীর বুকেই এই জাদুঘরকে একটি নিদর্শন করে রাখতে চাই যে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট, খুনি রাষ্ট্রনায়কদের আসলে কী পরিণতি হয় এবং জনগণই যে ক্ষমতার মালিক; সে বিষয়টিকে একটি নিদর্শন হিসেবে সারা পৃথিবীর বুকে রাখার জন্যই আমরা গণভবনটিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই উদ্দেশ্যেই আমরা আজ প্রাথমিক পরিদর্শন করেছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আন্দোলন ছাড়াও গত ১৬ বছরে যাদের ওপর নিপীড়ন, গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেই তালিকা থাকবে এই জাদুঘরে। মানুষের ক্ষোভের উপস্থাপনও থাকবে সেখানে। কিছু ডিজিটাল রিপ্রেজেন্টেশনও থাকবে।
কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও ফিল্ম মেকার ড. এবাদুর রহমান। কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা অ্যাকাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব; লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক; আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইন্সটিটিউট অভ্ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি; নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার; ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের আর্কিটেক্ট তানজিম হাসান সেলিম। এছাড়াও কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবেন।