রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
তাদের বিরুদ্ধে এ এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার রাতেই এ ৪৫ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ওসি ইফতেখার।
মি. ইফতেখার বলেন, “আমি অভিযানে তাদের সঙ্গে ছিলাম না। বলতে পারছি না আসলে কী গ্রাউন্ডে তাদের অ্যারেস্ট করা হয়েছে। কিন্তু তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে তারা অপরাধের সাথে জড়িত। আমাদের কাছে হ্যান্ড ওভার করেছে। এখন আমরা যাচাই- বাছাই করবো কে কোন অপরাধের সাথে জড়িত”।
সেনাবাহিনীর সাথে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সফল অভিযান সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান মি. ইফতেখার।
তিনি জানান, “ঢাকা শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসীর দশটা তালিকা করলে এর পাঁচটার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কমপক্ষে হবে মোহাম্মদপুরে। শুধু মোহাম্মদপুরের একটা থানায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীর অর্ধেকের বেশি জন্ম দিয়েছে এবং বেড়ে উঠেছে সহায়তা করেছে। ঐতিহাসিকভাবে মোহাম্মদপুর ক্রাইম জোন”।
এসব অপরাধ কার্যক্রম দমন করতে আজ রোববার থেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রতিটি হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসাবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে বছিলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্থায়ী ক্যাম্প বসানোর এ তথ্য জানান ২৩ ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটিতে ছিনতাইকারী, ডাকাত দলের সদস্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৬১ রাউন্ড গুলি, ১৯ রকমের মাদক, একটি গ্রেনেড ও ৮০টি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি