নভেম্বরে আজারবাইজানের রাজধানীতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে কপ-২৯ সম্মেলন। জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করতে ৩২ হাজার মানুষের সমাবেশ হতে যাচ্ছে এই সম্মেলনে। জলবায়ু নিয়ে এই মহা আয়োজনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, সবকিছু চূড়ান্ত হলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার বাকু যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১১ থেকে ২২ নভেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসতে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) ২৯তম আসর।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করার জন্য কপ২৯ সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রেকর্ড ছাড়ানো বৈশ্বিক তাপমাত্রা, চরম আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এসব সমস্যার সুনির্দিষ্ট সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে কপ২৯ বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের নেতাদের একত্রিত করবে।
জাতিসংঘের মতে, কপ২৯-এর মূল লক্ষ্য হবে অর্থায়ন, কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষায় দেশগুলোর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
প্যারিস চুক্তির অধীনে দেশগুলোর হালনাগাদ জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে দ্বিগুণ করবে।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেনলি মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে বাকুতে আসন্ন কপ-২৯ শীর্ষ সম্মেলন, জ্বালানি, বাণিজ্য, ব্যবসায়িক সহযোগিতা এবং দুই দেশের মধ্যে একটি পরিকল্পিত বিমান পরিষেবা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত হুসেনলি দুই দেশের মধ্যে গভীর বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাকু 'নতুন সুযোগ' এবং আরও ব্যবসার জন্য দরজা খোলার উপায় খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, গত জুনে বাকুতে দুই দেশের ফরেন অফিস কনসালটেশন অনুষ্ঠিত হয়। আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান চলাচল চুক্তি করতে চায় বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানকে 'ভালো বন্ধু' হিসেবে অভিহিত করে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান।বৈঠকে ড. ইউনূস আজারবাইজানের জনগণ, এর নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।