রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনের ব্রিকস সম্মেলন
আজ থেকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনের ব্রিকস সম্মেলন।
ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে যুদ্ধ বন্ধের চাপ আছে রাশিয়ার ওপর। রাশিয়া এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে অ-পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান শক্তি হতে চায়, দেখাতে চায় পশ্চিমাকে, কিন্তু চীন, ভারত, ব্রাজিল ও আরব বিশ্বের নেতারা ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার উপায় খুঁজে বের করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ করছেন।
ব্রিকস গ্রুপ এখন বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫% এবং অর্থনীতির ৩৫%।
এই সম্মেলনে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদি দিল্লি ছেড়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংও থাকবেন সম্মেলনে। তবে অসুস্থতার কারণে ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা সম্মেলনে যাচ্ছেন না।
ব্রিকস সম্মেলনের প্রাক্কালে, পুতিন মস্কোর বাইরে তার নভো-ওগারিওভো বাসভবনে মধ্যরাতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে দেখা করেছেন।
বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকসের অংশ এই দশকের শেষ নাগাদ ৩৭% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যেখানে সাতটি প্রধান পশ্চিমা অর্থনীতির গ্রুপের অংশ এই বছরের প্রায় ২৮% কম, তথ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের।
রাশিয়া ব্রিকস দেশগুলিকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য একটি বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে রাজি করার চেষ্টা করছে। সেটা হলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পাবে রাশিয়া। এখানে একটি সংকটও আছে। ব্রিকসের অভ্যন্তরে বিভাজন প্রচুর। রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা চীন ও ভারত। চীন ও ভারত চিরশত্রু। অন্যদিকে আরব দেশগুলো ও ইরানের মধ্যে ভালোবাসা নেই। সূত্র: রয়টার্স