জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালাতে পারবে
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের নিবন্ধ বাতিল হয়েছিল। বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আবেদন করেছিল জামায়াত। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। খারিজ হওয়া আবেদন পুনরুজ্জীবিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন।
এবার নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াত আইনি লড়াই চালাতে পারবে।
এর আগে অনতর্বর্তী সরকার জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
গত ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে দেশ ছাড়লে রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যায়।
সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদির নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর থেকে দলটি চারবার নিষিদ্ধ হয়। ১৯৫৯ ও ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে এবং ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রতিষ্ঠার পর অন্য সব ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে জামায়াতও নিষিদ্ধ হয়েছিল।