আজমির শরিফে খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তির দরগায় প্রার্থনারত শেখ হাসিনা, ২০০৫।
শেখ হাসিনা একটি সামরিক বিমানে চেপে দিল্লিতে অবতরণ করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন।
কখনও তাকে আর এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কোনো ছবি ‘লিক’ হয়নি।
কিছু ফোনালাপের অডিও ফাঁস হলেও সেগুলো যে তারই কণ্ঠস্বর তারও কোনো প্রমাণ নেই।
শেখ হাসিনা বা তার সঙ্গী ছোট বোন শেখ রেহানা ভারতে আছে সেদেশের সরকার নিশ্চিত করেছে, কিন্তু তারা কীভাবে আছেন, কোথায় আছেন তা নিয়ে ভারত কিছুই বলেনি।
এখন শেখ হাসিনাকে নিয়ে কী করবে সে ব্যাপারে দিল্লি এখনও অন্ধকারে। তাকে কি রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে?
ভারতের একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার ধারণা, বেশ লম্বা সময়ের জন্যই শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকতে দিতে হবে এই বাস্তবতার জন্যই সরকার এখন প্রস্তুত হচ্ছে।
অতীতে যেভাবে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামা বা আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানদের ভারত ‘পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম’ বা রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল, শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে?
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের একজন সম্মানিত অতিথি। তাকে বিশেষ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে ভারতে চলে আসতে হয়েছে। নিজ দেশে তার নিরাপত্তা বা সুরক্ষা বিপন্ন হয়ে উঠেছিল বলেই তিনি ভারতে এসেছেন, এটা ভারত খুব ভালো করেই জানে। এখন এই ‘অতিথি’র স্ট্যাটাসেই তাকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এ দেশে রেখে দেওয়া যেতে পারে। ভারতের তাতে কোনো অসুবিধা নেই। দেশের পুরনো বন্ধু ও অতিথি হিসেবে তিনি সব সম্মানই পাবেন। সূত্র: বিবিসি