Logo
Logo
×

সংবাদ

মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা

মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে বসুন্ধরা গ্রুপের ন্যারেটিভ পাল্টে গেছে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬ পিএম

মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে বসুন্ধরা গ্রুপের ন্যারেটিভ পাল্টে গেছে

মোসারাত জাহান মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

বহুল আলোচিত মোসারাত জাহান মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পুনঃতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় সায়েম সোবহান আনভীর, আকবর সোবহানসহ সব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সায়দিয়া গুলরুখ, রেহনু্মা আহমেদ, বিথী ঘোষ ও জোবাইদা নাসরীনসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়নের পর আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী-এমপিরাও তাকে অনুসরণ করেন। তবে সবাই পালাতে পারেননি। কেউ কেউ কোস্ট গার্ড বা বর্ডার গার্ড বা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। যারা ইতোমধ্যে ধরা পড়েছেন বা পড়বেন বলে আতঙ্কে আছেন, শোনা যাচ্ছে তাদের কেউ কেউ তাদের অপরাধ থেকে মওকুফ পাওয়ার আশায় বিএনপি বা জামায়াতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল “আপন” মানুষদেরকে অপরাধ থেকে পার পাইয়ে দেওয়া। বিনিময়ে তাদের আপনজনরা স্বৈরাচারী শাসনকে মহিমান্বিত করেন এবং রাষ্ট্রীয় ও শাসক দলের নিপীড়নকে মতাদর্শিক সমর্থন জোগান। যেমন করেছিলেন দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

বক্তারা বলেন, গত ২৩ জুলাই যখন রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ছাত্রলীগের হত্যাযজ্ঞ ছিল তুঙ্গে, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একটি সভা আহ্বান করেন। আকবর সোবহান সেই সভায় বলেন, “আজ শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা নন, তাঁর সঙ্গে ২০ কোটি মানুষ আছে। … আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাব। কোনো শক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।“ যদিও তদ্দিনে ছাত্রলীগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, বুলেট নিক্ষেপে অন্তত ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

বক্তারা আরও বলেন, মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে বসুন্ধরা গ্রুপের ন্যারেটিভ পাল্টে গেছে। ১০ অক্টোবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বসুন্ধরার নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, 'আন্দোলনের শুরু থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ছাত্রদের সহযোগিতা করে আসছে। আমরাই সর্বপ্রথম অসুস্থদের সহযোগিতা করা, হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়া এবং সহযোগিতা করে আসছি।' শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত একটি শহীদ পরিবারের দুই ভাইকে বসুন্ধরায় চাকরি দেওয়ার সুবাদে তিনি এই কথাগুলো বলেন। জনাব পাভেল আরও বলেন, এই সাহায্য-সহযোগিতা করা 'আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের আকাঙ্ক্ষা ছিল।'

বক্তারা আরও বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর তার প্রেমিকা কলেজ শিক্ষার্থী মোসাররাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ ও পিবিআই স্ব স্ব তদন্ত প্রতিবেদনে আনভীরকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি প্রদান করে।  মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আনভীর বাদে আরও ৭ জন আসামির আরেকজন হচ্ছেন আনভীরের পিতা আহমেদ আকবর সোবহান। পিবিআই তাকেও গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি প্রদান করে।

বক্তারা বলেন,  আমরা মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত চাই। সায়েম সোবহান আনভীর, আকবর সোবহানসহ সব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। পল্টি খেয়ে রঙ বদলে কোনো লাভ হবে না।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন