নিয়োগ প্রজ্ঞাপনসহ চারটি বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
অন্তবর্তী সরকারের কাছে ৪৩ তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। একই সঙ্গে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার সকল প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৪৩তম বিসিএসে ঢালাও নিয়োগের মাধ্যমে নিষিদ্ধের দাবি ওঠা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪৩ তম বিসিএসে যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার বেশিরভাগই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এছাড়া ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের যে কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো স্থগিত করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দুই মাস না যেতেই কোনো রকম যাচাইবাছাই ছাড়া আওয়ামী লীগের অনুগত ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের পুনবার্সন করার জন্য ৪৩ তম বিসিএসের ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ৩ হাজার মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন শেষ পর্যায়ে। আর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আমরা চাই ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নিবৃত্ত করতে এই তিনটি নিয়োগ পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে হবে।’
পুলিশের নিয়োগ নিয়ে সালাহউদ্দীন আহমদ বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে ৮০৩ জনকে নিয়োগ করে। আমরা জানতে পেরেছি এরমধ্যে ২০০ জনের বাড়ি গোপালগঞ্জে এবং ৪০৩ জন ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারী সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য। সেই সঙ্গে আ. লীগ সরকার সর্বশেষ ৬৭ জন এএসপিকে নিয়োগ প্রদান করে, যারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হবে না।