বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সাময়িকভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৬টি শর্তে এই আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। আমদানিকারকদের নিম্নবর্ণিত শর্তাদি অনুসরণপূর্বক আমদানির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
ওই আদেশ আরও বলা হয়, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে ১ কোটি পিস, মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে ১ কোটি পিস, মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস ও মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৬টি শর্ত হলো--
(১) দ্য ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমল হেলথ-এর গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের কমপোনেন্ট অথরিটি কর্তৃক জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট/ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
(২) আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত/ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
(৩) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
(৪) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট সংগনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
(৫) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
(৬) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।