গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ৭৩৭, আহত ২৩ হাজার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে নীতিমালা প্রণয়ন এবং শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা এবং আহত-নিহতদের একটা প্রাথমিক তালিকা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছেন। প্রস্তুতকৃত তালিকা সর্বসাধারণের যাচাইয়ের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে ডেটাবেইজ তৈরির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সারাদেশে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত মোট শহীদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৭৩৭ জন এবং আহতের সংখ্যা ২২ হাজার ৯০৭ জন।
আজ সোমবার বিকেল ৪টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন বিশেষত যারা চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের মেডিকেল টিম এনে (চীন, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ হতে) চিকিৎসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের অ্যাডভান্স মেডিকেল টিম বাংলাদেশে এসেছেন। তারা হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া, Need Based Assessment-পূর্বক পরবর্তীতে কি ধরনের সেবা/সাপোর্ট দেয়া হবে সে বিষয়েও তারা অবহিত করবেন। এছাড়া, বিভিন্ন দেশ এবং বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত চক্ষু রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য সেবা ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে নেপাল হতে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, আগারগাঁও, ঢাকায় এসেছেন। এছাড়া, আজ ফ্রান্সের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও আসছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন ১৫ দিনের ভেতর যুক্তরাজ্য হতে অর্থোপেডিক ডাক্তার চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। নেপাল হতে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎকগণ জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মোট ১৯২ (একশত বিরানব্বই) জন চক্ষু রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এবং ৪ জন জটিল রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করেন। ইনজুরড রেটিনা রোগীদের রেটিনার অস্ত্রোপচার শেষ হলে প্রায় ছয়মাস পর কর্ণিয়া অপারেশনের প্রয়োজন পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, কর্ণিয়া সরবরাহে সেবা ফাউন্ডেশন সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকগণ রোগীদেরকে যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তা ছিল সঠিক।এই ধরনের রোগীদেরকে নেপালেও একইভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। চোখের ভিতরের Pillet/ গুলি যে পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ সঠিক।