র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) গুম-খুনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়াবে না বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, র্যাবে আয়নাঘর বলে কিছু নেই। আর বিচার বহির্ভূত কোনোকিছু হওয়ার সুযোগ নেই। আজ সোমবার বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ডে র্যাব জড়াবে না। কাউকে এক স্থান থেকে ধরে অন্য স্থানে নিয়ে আটকে রাখা হবে না। র্যাব আইনের মধ্যে থেকে কাজ করবে। গুম-খুন ফৌজদারি অপরাধ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাহিনীর কোনো সদস্য এতে জড়ালে বরদাস্ত করা হবে না। এই অপরাধে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে র্যাব। এছাড়া, জামিনে যেসব জঙ্গিরা বের হয়েছে, তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ গুজব ছড়িয়ে নাশকতার অপচেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এ বিষয়ে শহিদুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ইতোমধ্যে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিদর্শন করেছে। তাদের যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। চাহিদামতো আরও তথ্য দেওয়া হবে।
এসময় ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। আর সভাপতি কামরুজ্জামান খান র্যাব ও ক্র্যাবের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে বিষয় নতুন মহাপরিচালককে অবহিত করেন।
র্যাব ডিজিও তার চাকরি জীবনের সাংবাদিকদের কাছ থেকে নানা ভালো তথ্য পাওয়া বিষয়টি তুলে ধরেন। মতবিনিময়ে ক্র্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজম ও শেখ কালিমুল্লাহসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।