সাবেক আইজিপিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮ এএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অপারেশন ঈগল হান্টের নিহত আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু মরিচকে হত্যার ঘটনায় অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘ ৮ বছর পর সোমবার সন্ধ্যায় (৩০ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্ত্রী মোসা. সুমাইয়া খাতুন শিবগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ করেন।
এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে অপারেশন ঈগল হান্টের অভিযানিক দলের উপ-পরিদর্শক সাব্বির আলম চৌধুরীকে। এছাড়া পুলিশের সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আলম, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাবেক প্রধান মুনিরুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল রাতে পুলিশ, র্যাব, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট টিমের যৌথবাহিনীর দল মসলা ব্যবসায়ী আবুর বাড়ি ঘেরাও করে গোলাগুলি করে। এসময় ঘুম ভেঙে বাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও বাড়ির বাইরে থেকে মূল ফটক বন্ধ থাকায় আবু, তার স্ত্রী ও ৩ শিশু সন্তান বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি। এসময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় পুরো বাড়ি ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবুকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে তার মরদেহ জঙ্গি হিসেবে দাবি করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সেই সাথে নিহতের স্ত্রী সুমাইয়াকে আটক করে নিয়ে যায়। আহত সুমাইয়াকে দেড় মাস চিকিৎসা শেষে জেলে এবং ২ বছর পর জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এর ২ দিন পর ২৭ এপ্রিল বিকেলে ২ টি হেলিকপ্টারের করে ৩ টি বস্তাবন্দি মরদেহ আবুর বাড়ি নিয়ে গিয়ে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে মরদেহ ৩টির সাথে বিস্ফোরক বোমের দেহগুলোতে বিস্ফোরিত হলে সেগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার আবেদনকারী সুমাইয়ার ভাই সানাউল্লাহ সুলভ দাবি করেন, তার ভগ্নিপতি বিএনপির কট্টর সমর্থক হওয়ায় তাকে হত্যার পর মরদেহ গুলোতে আবারো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মরদেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা গ্রহণসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।