ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হল প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার তোফাজ্জলের ফুফাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন, তবে ঢাবির করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এর কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী জানান, ঢাবির মামলায় কাউকে নির্দিষ্ট করে আসামি করা হয়নি। অথচ ভিডিওতে সবার চেহারা পরিষ্কার দেখা গেছে। এর পরও আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয়ে ব্যক্তিদের। এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পাবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান। তাই নতুন করে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না।

মামলার আরও ১৪ আসামি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, মোত্তাকিন সাকিন শাহ, আল হোসাইন সাজ্জাদ, ওয়াজিবুল আলম, আহসান উল্লাহ, ফজলে রাব্বি, ইয়ামুস জামান, রাশেদ কামাল অনিক, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান ও মো. সুলতান।

মামলার বাদী তোফাজ্জলের বোন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা মানা যায় না। ঘটনায় দায়ীদের কঠিন সাজা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা নিশ্চিত করতে হবে যাতে আর কেউ এভাবে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করতে না পারে।