ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যায় তদন্ত কমিটি গঠন
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মারধরে মৃত্যুর ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে এই কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা যায়।
হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে হলের একদল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ওই ব্যক্তির মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত।’
তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত করে আজ সন্ধ্যার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি লুকিয়ে হলের মধ্যে ঢুকে পড়েন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ধরে এনে আগের দিন হল থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই যুবক বলেন, যদি তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আসল চোরদের কথা বলবেন।
ছাত্ররা তাকে ভাত খাওয়ান। কিন্তু ওই যুবক আসল চোরদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাত ১০টা থেকে শুরু করে দুই ঘণ্টা ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বিষয়টি প্রক্টরিয়াল টিমকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেউ কেউ জানান, তোফাজ্জল একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা। অনেক আগেই তার বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
প্রক্টর বলেন, ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলমগীর কবিরকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, অধ্যাপক জহির রায়হান, মোহাম্মদ মাহাবুব আলম, ড. আসিব আহমেদ, ড. তৌহিদুল ইসলাম ও এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিকী।