লেবাননে আবার ডিভাইস বিস্ফোরণ, নিহত ২০, আহত ৪৫০
লেবানন জুড়ে হাজার হাজার ডিভাইস বিস্ফোরণের একদিন পরে, আবার ওয়াকি-টকি, ল্যাপটপ ও রেডিওসহ হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসগুলির আরও বিস্ফোরণ হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার একইভাবে হিজবুল্লাহ সদস্যদের ডিভাইস বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছিল।
বুধবার একযোগে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের রিপোর্ট দ্রুত মেসেজিং অ্যাপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে লোকেরা বিস্ফোরিত ওয়াকিটকি এবং আগুন লাগা আবাসিক ভবনের ছবি শেয়ার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিগুলিতে ওয়াকিটকি, রেডিও এবং এমনকি সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বিস্ফোরিত হওয়ার খবর আসে। সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বিস্ফোরণের পর একটি আবাসিক এলাকায় আগুন ও ধোঁয়া উঠতে থাকা যানবাহন দেখা গেছে।
সাংবাদিকরা দক্ষিণ লেবাননে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের সময় গাড়ি বিস্ফোরণ প্রত্যক্ষ করেছেন। গাড়ির ভেতর থেকে একটি বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় পর্যবেক্ষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এসব ডিভাইসে ১ থেকে ৩ গ্রাম শক্তিশালী বিস্ফোরক লোড করা হয়েছিল। কিছু হিজবুল্লাহ সদস্য বিশ্বাস করেন যে, বিস্ফোরণগুলি ব্যাটারির সাথে যুক্ত।
রয়টার্স নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী অনুসারে, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে একটি জানাজা চলাকালে একটি বিস্ফোরণের পর বেশ কয়েকজন দ্রুত তাদের রেডিও থেকে ব্যাটারিগুলি বের করে এবং ফেলে দেয়।
হিজবুল্লাহ এবং লেবানন সরকার বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের কয়েক মাস পরে বিস্ফোরণগুলি হয়। ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা পুনরায় জাগিয়ে তুলেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বুধবার সন্ধ্যায় ভয় দেখিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা থেকে উত্তরে সরিয়ে নেবে। উত্তরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত রয়েছে।
লেবানন জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হওয়ার সাথে সাথে লোকেরা তাদের ডিভাইসগুলি চেক করার জন্য দোকানে নিয়ে যায়।
ইসরায়েলের এই হামলাকে লেবাননে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছে। ইসরাইল সফলভাবে হিজবুল্লাহ সদস্যদের মধ্যে এবং লেবানিজ সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সূত্র: আল-জাজিরা