আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
আবু সাঈদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ আগস্ট মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বরখাস্ত করেছিল।
এ বিষয়ে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি বর্ষণের অভিযোগে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজনচন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তারকৃতরা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের দুজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তবে এর আগে পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে সাধারণ ও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে গুরুতর জখম, চুরি, ভাঙচুর, ক্ষতিসাধন, অগ্নিসংযোগ ও নিরীহ ছাত্রকে হত্যার অপরাধে ১৪৩ / ১৮৬ / ৩৩২ / ৩৩৩ / ৩৫৩ / ৩৭৯ / ৪৩৫ / ৪২৭ / ৩০২ / ৩৪ ধারায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞতানামা উচ্ছৃঙ্খল দুই থেকে তিন হাজার আন্দোলনকারী ছাত্রনামধারী দুর্বৃত্ত, বিএনপি, জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতা-কর্মীদের।
ওই মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ (২৩)।