আগুনে পোড়ানো হয় ভ্যানে স্তূপ করে রাখা সেই মরদেহগুলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হঠাৎ করে গতকাল শুক্রবার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানের ওপর অনেকগুলো লাশ। পুলিশের ভ্যানের লাশের স্তূপ করে রাখা মর্মান্তিক ঘটনাটি আশুলিয়া বাইপাইল এলাকার থানা রোডের গলিতে।
ওইদিন ঘটনাস্থলে থানা রকি আহমেদ নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন, পুলিশ প্রথমে গেটে এসেই ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লিমিটেডের অফিসার ফ্যামিলি কোয়াটারের সামনে পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ ৭ জনকে একটি প্যাডেল ভ্যানে তুলেন। পরে তাদের থানার সামনে আনেন। পরে লাশগুলো থানার পার্কিংয়ে থাকা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে আগুন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ৭ জনের লাশ আগুনে পুড়িয়ে থানা থেকে সব পুলিশ বেরিয়ে থানা গলি দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। আর গুলি ছুড়তে থাকেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া একজনের হাতে তখনো হাতকড়া ছিল।
এঘটনায় নিহত আস-সাবুর নামে এক তরুণের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌস বলেন, গত ৫ আগস্ট আআন্দোলনকারীরা আশুলিয়া থানায় হামলা চালায়। এসময় পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুড়লে কয়েকজন আন্দোলনকারী মারা যায়। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে আশুলিয়া থানার সামনে একটি পিকআপে পুড়ে যাওয়া কয়েকজনের লাশের খোঁজ মেলে। আমার ছেলের পুড়ে যাওয়া লাশ ওই পিকআপের পেয়েছি। আজ ধারণা করছি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর লাশ গুলো গুম করার জন্য ওই পিকআপে ভরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আশুলিয়া থানা সংলগ্ন বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন জানান, ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকে তারা মসজিদে আসেননি। তবে সেখানে পরদিন সকালে পুড়ে যাওয়া ছয়টি মরদেহের জানাজা পড়ানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে সেই সময়কার আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সদ্য বদলিকৃত) এএফএম সায়েদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈন বলেন, আজ সকালে তিনি ভিডিওটি দেখেছি। এটি অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।