গণহত্যায় উসকানিদাতা
যে ৩০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা হলো
মামলায় নাম আসা সাংবাদিকদের একাংশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য এবং ৩০ জন সাংবাদিকসহ মোট ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ মামলা করেছেন আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী নাসিব হাসান রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক।
মামলাটিতে যেসব সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, সাবেক বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ, সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা ও হেড অব কারেন্ট এফেয়ার্স মিথিলা ফারজানা, টিভি সঞ্চালক নবনীতা চৌধুরী, এবি নিউজের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ যোবায়ের এবং এখন টিভির বার্তা প্রধান তুষার আব্দুল্লাহ।
এছাড়াও আরও আসামি করা হয়েছে ডিবিসি নিউজের সিইও সাইফুল আলম, প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা ও সম্পাদক জাহেদুল হাসান পিন্টু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক সমকালের সাবেক সম্পাদক আবেদ খান, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিন, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীস সৈকত, এশিয়ান টিভির হেড অব নিউজ মানষ ঘোষ, সাবেক তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি, এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী মুন্নি সাহা, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ ই মামুন, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম, ইত্তেফাকের শ্যামল সরকার, সমকালের অজয় দাশ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ–প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনকে।
এছাড়াও মামলাটিকে আসামি করা হয়েছে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে।