Logo
Logo
×

সংবাদ

দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপ চায় বিএনপি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম

দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপ চায় বিএনপি

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত সংলাপে বসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। ।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, অতি দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনায় বসা দরকার। তারা কী চায়, জনগণ কী চায়, আমরা কী চাই—এ বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। না হলে অনেক ভুল–বোঝাবুঝি হতে পারে।

২০০৭ সালের সেনা–সমর্থিত এক-এগারো সরকারের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো ভুলে যাইনি এক-এগারোর সময় কারা চেষ্টা করেছিল বিরাজনীতিকীকরণের। এমনকি ওই সময়ে আমাদের দলকে পর্যন্ত পুরোপুরি বাতিল, নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টাও হয়েছিল। এ কথাগুলো তো আমরা ভুলতে পারি না। এটা আমার গণতন্ত্রের জন্য, আমার রাজনীতির জন্য, আমার দেশের কল্যাণের জন্য এ কথাগুলো আমার মনে রাখতে হবে। আবার ওই চেহারাগুলোই যদি সামনে দেখি, তখন তো যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়, প্রশ্ন এসে যায়।

এ সময় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢালাওভাবে মামলা যাতে না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব—আপনারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করুন। এ বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদেরও আহ্বান জানাব, এমন কোনো মামলা করবেন না, যাতে সারবস্তু থাকবে না।

 মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। সরকারকে সহযোগিতা না করলে কিন্তু সেটা হবে না। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্ত হচ্ছে। কিছু অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ভারত থেকে। যারা সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিচ্ছে।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ফের পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। অথচ গত ১৫ বছরে বিএনপির প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করা হয়েছে। এমন কোনো নেতা-কর্মী নেই যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি অপকর্ম করে না। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে অপকর্ম করছে, সেটার কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রায় ৫৬ থেকে ৫৭ জন নেতা-কর্মীর, যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের পক্ষে, তারা রাজনীতি করবে, এটা তাদের অধিকার। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন