মসজিদের দানের টাকা বন্যার্তদের দেওয়ার সুযোগ নেই: আহমাদুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ
আরো পড়ুন
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, আপনি কিছু টাকা দিয়ে বললেন কিছু মানুষকে খাইয়ে দিতে কিন্তু আমি যদি সেই টাকা নিয়ে কোরআন শরীফ কিনে নিয়ে আসি, তাহলে সেটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না বরং গুনাহ হবে। কারণ টাকার দাতা আমাকে সেই পারমিশন দেননি। কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে টাকা পয়সা দেয়, তাহলে সেই টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার হবে। আমরা কোনোভাবেই সেটা নিয়ে বন্যায় খরচ করতে পারি না।
আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুল এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আজই কোনো একটা জাতীয় গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি একটা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। পাগলা মসজিদ থেকে বড় একটা টাকার অংক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে। এটা একেবারেই অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আপনি কিছু টাকা দিয়ে বললেন কিছু মানুষকে খাইয়ে দিতে কিন্তু আমি যদি সেই টাকা নিয়ে কোরআন শরীফ কিনে নিয়ে আসি, তাহলে সেটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না বরং গুনাহ হবে। কারণ টাকার দাতা আমাকে সেই পারমিশন দেননি। কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে টাকা পয়সা দেয়, তাহলে সেই টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার হবে। আমরা কোনোভাবেই সেটা নিয়ে বন্যায় খরচ করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, আপনি বন্যার জন্য প্রয়োজনে মসজিদ থেকেই আলাদা ফান্ড তৈরি করবেন এবং টাকা উঠাবেন। ইসলাম ধর্মে সকল খাতেই আলাদা আলাদা খরচের সুযোগ আছে, যে কারণে একটাকে অন্যটার ভিতরে এনে ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।
এর আগে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ফান্ড থেকে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যাকবলিতদের মধ্যে কিছু টাকা অনুদানের দাবি উঠে। তবে পাগলা মসজিদের একটি সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা পলাতক রয়েছেন। তাই মসজিদ পরিচালনা কমিটির মিটিং ছাড়া এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।