Logo
Logo
×

সংবাদ

বন্যার্তদের সাহায্যে স্বেচ্ছাসেবীদের যা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম

বন্যার্তদের সাহায্যে স্বেচ্ছাসেবীদের যা প্রয়োজন

বন্যার্তদের জন্য একদল তরুণ স্বেচ্চাসেবী হিসেবে কাজ করছে। তবে তারা বন্যার্তদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু রসদ ও উদ্ধার সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেতে তাই তারা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। 

তরুণদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরশুদিন রাত থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি আমাদের দলের তরুণরা বন্যর্তদের জন্য কাজ করছে। আমাদের একটা বড়সড় ভলান্টিয়ার বাহিনী দুর্গত এলাকায় এবং এক্সট্রা ফোর্স হিসেবে আছে। তবে, আমরা যেইটা চেয়েছি তা হচ্ছে একটা ডিটেইল প্ল্যান। 

কোন এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশী দুর্গত, কোন এলাকায় রেস্কিউ জরুরি আবার কোথায় রেস্কিউ নয় বরং ত্রাণ পৌঁছানো জরুরি সেগুলো চক আউট করার চেষ্টা করেছি। 

এই মুহূর্তে গোটা দেশবাসী আবেগাক্রান্ত। আমরাও। কিন্তু, আবেগের বদলে পরিকল্পনা করে না আগালে ভালোর চেয়ে মন্দ বেশি হবে। সকাল থেকে নানা জায়গা থেকে খবর পেয়েছি উদ্ধার করতে গিয়ে অনেকে উলটো আটকে পড়েছেন। উদ্ধারকারীদের মারা যাওয়ার খবরও এসেছে। 

আমরা জানি, প্রতিটা মিনিট দুর্গত মানূষের জন্য অসহনীয়, প্রতি ঘণ্টায় তাদের টিকে থাকার শক্তি কমে আসছে, সব  কিছুর পরেও সুষ্ঠু পরিকল্পনা করেই আগাতে হবে। 

সৌভাগ্যক্রমে আমরা সেরকম একটা জায়গায় পৌঁছেছি। আমাদের কয়েটা টিম ফেনী, কুমিল্লায় মোতায়েন করা হয়েছে, খাগড়াছড়ির বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের সবসময় যোগাযোগ আছে। মাঠের অবস্থা জেনে তারা আমাদের ফিডব্যাক দিয়েছেন। সেই অনুসারে আমরা ত্রাণ ও উদ্ধারকর্ম চালাবো। 

এরজন্য আমাদের প্রয়োজন রসদ ও উদ্ধার সামগ্রী। প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যা লাগবে:

শুকনা খাবার (চিড়া, মুড়ি, চাল, ডাল, বিস্কুট ইত্যাদি), শিশু খাদ্য, শিশুদের জন্য কাপড়, ওষুধ, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, লাইফজ্যাকেট, বয়া, লম্বা দড়ি, রেইন কোট, ফাস্ট এইড কিট, টর্চ, টর্চ ব্যাটারি ও স্যানেটারি ন্যাপকিন। 

স্পিডবোট ও ট্রাক পাওয়া যাবে বলে আমরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তবে সামনে আরো বেশি লাগতে পারে। 

এছাড়াও যোগাযোগের জন্য ওয়াকি টকি এবং সার্ভেলেন্সের জন্য ড্রোন (ভাড়া বা ধার হিসেবে) পাওয়া গেলে খুব সুবিধা হয়। 

আমরা একটা সেল খুলেছি। এই সেলে আপনারা অর্থসাহায্য করতে পারেন। এই অর্থ দিয়ে আমরা ত্রাণকর্ম অব্যহত রাখতে পারবো। 

আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ: 

সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ (01552366831-কেন্দ্রীয়) 

কায়েস মাহমুদ ( 01777157984- সেন্ট্রাল ও ফেনীর কো-অর্ডিনেটর ) 

আরিফ হাসান বাণী (016745995534- কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি)

অর্থসাহায্য পাঠানোর নম্বরসমুহঃ 

বিকাশ +880 1736-123902

            +01552366831

             + 016745995534

নগদ +8801712768955

(দয়া করে রেফারেন্সের জায়গায় বন্যা/ত্রাণ সাহায্য লিখবেন)।

যারা ইতিমধ্যে ফান্ড তুলেছেন কিন্তু এলাকায় গিয়ে কাজ করতে পারছেন না তারাও আমাদের সাহায্য করুন। আমরাও কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। 

সম্ভবত, আমাদের একটা দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি ও আশা রাখি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্ব এই কার্যক্রম এবং বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। নাগরিক হিসেবে আমরা সেই জবাবদিহিতা অব্যহতভাবে চাইতে থাকবো। তবে, এই মুহূর্তে ডুবন্ত মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছি।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন