Logo
Logo
×

সংবাদ

ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা দিল

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম

ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে যে ব্যাখ্যা দিল

আকস্মিক বন্যায় ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছেন চারজন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ভারত এই দাবি মানতে নারাজ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে, এমন খবর প্রচারে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। কারণ, এটি সঠিক নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, ডুম্বুর বাঁধটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশ থেকে এটি ১২০ কিলোমিটার দূরে উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। এখান থেকে বাংলাদেশও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গত ২১ আগস্ট থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারি প্রবাহের ক্ষেত্রে বাঁধগুলোতে স্বয়ংক্রিয় রিলিজ পরিলক্ষিত হয়েছে। অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বাস্তব সময়ের বন্যার তথ্য প্রেরণ করছি। তথ্য অনুযায়ী, ২১ আগস্ট ভারতের স্থানীয় সময় বেলা ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশকে ক্রমবর্ধমান বন্যার প্রবণতার ডেটা সরবরাহ করা হয়েছে। এ দিন ভারত সময় সন্ধ্যা ৬টায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎবিভ্রাট হয়েছে। যার ফলে যোগাযোগের সমস্যা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা, যা উভয়পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। 

তবে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ডুম্বুর জলাশয়ের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের গেট। সংবাদমাধ্যম জি-নিউজ জানায়, বন্যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই পানি ঢুকছে বাংলাদেশে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন