ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী-কোস্টগার্ড-বিজিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনীর উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার শতাধিক গ্রামের লাখো মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি। এমতাবস্থায় বন্যা পরিস্থিতিতে আটকে পড়া ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বাসিন্দাদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী-বিজিবি ও কোস্টগার্ড। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১২টি বোট নিয়ে বন্যা কবলিত স্থানে পৌঁছেছেন। এছাড়া উদ্ধারকাজে সহায়তার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরাও পৌঁছেছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই দুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। অনেকের ঘরে রান্না করাও সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন বাড়ির ছাদে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রায়হান মেহেবুব জানান, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তারা অভিযান শুরু করতে পারছে না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ/খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মত শাহীনা আক্তার বলেন, ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
গত মাসের মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা যায়। সেসময় মেরামত করা হলেও চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরও ১২ জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়।
দেড়মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফার বন্যায় বাঁধ ভেঙে অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মৎস্য খাতে ক্ষতি ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় আবারও দেখা দিলো বন্যা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুনীর হোসেন।