অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে বললেও এখনও ক্লাসে ফেরেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বন্ধ রয়েছে সব পরীক্ষাও। গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে খালি করা হয় সব হল।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালা বদল হয়। এর পরদিন আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস খুললেও একের পর এক পদত্যাগ করেন উপাচার্য, প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষ ও ডিন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে অভিভাবকহীন।
সর্বশেষ সোমবার শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনের সময় যেসব শিক্ষক নিপীড়নকারীদের পক্ষ নিয়েছিলেন তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। শিক্ষার্থীদের অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন অনুষদে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন।
উপাচার্য পদত্যাগ কররায় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে আছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার।
সীতেশচন্দ্র বাছার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করছি। উপাচার্য নিয়োগ হলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চান না শিক্ষার্থীরা
ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গত ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এমনকি তাদের হল থেকে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে। সোমবার দুপরেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।