গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন
রূপপুর প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন শেখ হাসিনা, মধ্যস্ততায় টিউলিপ
আউটলুক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন বলে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আর এর মধ্যস্ততায় ছিলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প জানায়, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে তাকে অর্থ-আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি চালু হয়। তারা বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তির বিস্তার রোধে পশ্চিমা ঢাল হয়ে কাজ করে তারা।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার এক ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম। বোন শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি টিউলিপ ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গে ছিলেন। টিউলিপ সিদ্দিক সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামের একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের। শেখ হাসিনা ওই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন।