পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তদন্ত কমিশন চায় নিহতদের পরিবার
সংবাদ সম্মেলনের একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন চায় নিহতদের পরিবার। আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
এছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সেনাদের পাশাপাশি অন্য যারা নিহত হয়েছেন তাদেরও শহীদ ঘোষণা করা, প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, পাঠ্যসূচিতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ট্রাজেডি বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা, যেসব বিডিআর জওয়ান এখনো নিরপরাধ হিসেবে কারাগারে আছেন তাদের মুক্তি নিশ্চিত করা, সেই সময় প্রতিবাদ করার কারণে সেসব অচেনা অফিসার চাকরি হারিয়েছেন তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল অথবা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিলখানায় নিহত সেনা অফিসার শফিকের ছেলে আইনজীবী সাকিবুর, বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন এবং নিহত বিডিআর কেন্দ্রীয় সুবেদারের ছেলে আব্দুল হান্নানসহ নিহত সেনা সদস্যদের ভাই, স্ত্রী, ও সন্তানরা বক্তব্য দেন।
এ সময় নিহত মেজর শাকিলের ছেলে দাবি করেন এ হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফজলে নুর তাপস ও শেখ সেলিম সরাসরি জড়িত। এছাড়াও নেপথ্যে আরও অনেকে রয়েছে। স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হলে তাদেরও নাম আসবে।
নিহত সেনা অফিসার লে. কর্নেল কুদরত ইলাহি রহমান শফিকের ছেলে অ্যাডভোকেট সাকিবুর বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম সেই সময় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিটিতে ছিলেন। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন সেটি তিন দফা সংশোধন করার পর মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছিল। এ সময় তিনি সেই রিপোর্টের ‘র’ কপি প্রকাশের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার ৫০ দিনের মধ্যেই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরদের একটি গ্রুপ দ্বারা বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। বিদ্রোহী বিডিআর সৈন্যরা পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তর দখল করে বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিককে হত্যা করে।