মোদির সঙ্গে ফোনালাপ
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনগুলো অতিরঞ্জিত : ড. ইউনূস
নরেন্দ্র মোদি ও ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউসনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় ড. ইউনূস সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনগুলো অতিরঞ্জিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে দেখে প্রতিবেদন করতে বলেছেন।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মোদির সঙ্গে এই ফোনালাপ হয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। ফোনালাপে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথের পর পরই এক্সে টুইট এবং এই ফোন কলের জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস। তিনি ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মোদি ও দেশটির নাগরিকদের অভিনন্দন জানিয়েছন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকারের প্রতি শুভ কামনা জানান এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নরেন্দ্র মোদি ২০০৬ সাল শান্তিতে নোবেল জয়ীন নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তিনি অনেকদিন ধরে তাকে চেনেন। মোদি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে এবং তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসবে।
এদিকে, নরেন্দ্র মোদি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করলে প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার সরকার সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিককে সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. ইউনূস বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরগুলো অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা ইস্যুতে মাঠ থেকে রিপোর্ট করতে বলেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং সারাদেশে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদি ১৭ আগস্ট নয়া দিল্লির আয়োজনে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিতব্য থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি ওই সামিটে অংশগ্রহণে রাজি হয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের ফলে তার অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিপ্লব এবং ছাত্র ও জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে তার সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষম ও কার্যকর করতে এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।