আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২২ এএম
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম
জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর গত শনিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে বিক্ষোভকারীদের সেনা টহল দলের ওপর হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, শনিবার নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত ইপিজেডে চাকরি প্রত্যাশীদের বিক্ষোভকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান ও চার জন জাপানি নাগরিককে উদ্ধার করেছে তারা। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশকে সহযোগিতার লক্ষ্যে বর্তমানে ৫৩৭টি থানায় সেনা মোতায়ন রয়েছে এবং থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও জানানো হয়, সেনাবাহিনী সহযোগিতায় ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যহারে পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগদান করছেন, যা চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় লুটপাটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে এবং আটককৃতদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সরাসরি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকটি জায়গায় অপহরণের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরে পেতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়া আন্দোলনে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিদের সিএমএইচে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দিবা-রাত্রি যৌথ টহল পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে রাত্রিকালীন যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে।
আইএসপিআর বলছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা সদস্যদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বসাধারণকে সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। সেই সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়।