Logo
Logo
×

সংবাদ

যানজটে আটকে ছিল ড. ইউনূসের গাড়িবহর

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

যানজটে আটকে ছিল ড. ইউনূসের গাড়িবহর

যানজটে আটকে ছিল ড. ইউনূসের গাড়ি বহর

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কার্যদিবস ছিল আজ রবিবার (১১ আগস্ট)। এ জন্য বের হয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর হ্যান্ডবল স্টেডিয়াম সংলগ্ন বক চত্বর এলাকায় তার গাড়িবহর পৌঁছালে যানজট আটকে যায়। বেশ কয়েক মিনিট সেখানে ইউনূসের গাড়িবহর আটকে ছিল। এ সময় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রটোকলে নিয়োজিত সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ান।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ড. ইউনূসকে বহনকারী বিএমডব্লিউ গাড়ি ঘিরে রেখেছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা। এ সময় চারপাশের উৎসুক জনতাকে লক্ষ্য করে এসএসএফ সদস্যদের বলতে শোনা যায়, আপনারা সবাই রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকুন। নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। রাস্তা থেকে দূরে দাঁড়ান। কোনো গাড়ি ভেতরে ঢোকাবেন না। বাম পাশের রিকশা ডান পাশের লেনে ঢোকাবেন না। কেউ রাস্তা ক্রস করার চেষ্টা করবেন না।

বাংলাদেশের প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রটোকল বিধি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর চলাচলের সময় সড়কের এক পাশ খালি করে চলাচলের বিধান রয়েছে। তাদের চলাচলের ১৫ মিনিট আগে থেকেই নির্দিষ্ট সড়কটির একপাশ ফাঁকা করে সেখানে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে রাখার নিয়ম অনুসরণ করা হয়।

ভিআইপি বা ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসন, এই শব্দগুলো প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের আইনে প্রবেশ করে সামরিক শাসকের হাত ধরে। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সামরিক শাসক ও প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ‘প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শারীরিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (পিএসএফ) গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ সালে নির্বাচিত সরকারের আমলে অধ্যাদেশটি সংশোধন করে দ্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্সের ওই আইনের অধীনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) গঠিত হয়।

দ্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্সের ধারা ৮(১) অনুযায়ী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক নিরাপত্তা দেওয়া। ‘ভিভিআইপি’ শব্দটি সরাসরি উল্লেখ নেই। তবে এ থেকে বোঝা যায়, আইন অনুযায়ী ‘ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসন’ হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম লেখেন, আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, বাংলাদেশে তুমি কি কি পরিবর্তন দেখতে পেয়েছো এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে?

জি আমি তখন এই ছবিটা দেখিয়ে বলতে পারবো, দেখুন কি বিশাল একটা পরিবর্তন। এটা বাংলাদেশে কেউ কখনো ভেবেছে? আমরা তরুণরা আশাবাদী। বাংলাদেশে এ রকম আরো পরিবর্তন আসবে ইন-শা-আল্লাহ।

রেজাউল ইসলাম লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ্ পরিবর্তনটা এভাবেই শুরু হোক। এই নিয়মটা যেন সর্বকালীন সময়ে বাংলার জনগন দেখেন।

দিপু ইসলাম লেখেন, বাংলাদেশে এই দৃশ্যগুলো কিন্তু একেবারে নতুন, আমরা এমন দৃশ্য জন্মের পর থেকে দেখি নাই। মন ভরে দেখে নেই, ভবিষ্যতে এমন দৃশ্যের উপস্থিতি থাকে কিনা সন্দেহ আছে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন