ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, নির্বাচন ঘোষণা হলে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।
একই সঙ্গে জয় বলেছেন, তিনি ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন চান। খবর বিবিসির।
রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, 'আমার মা (শেখ হাসিনা) আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেননি।’
গত ৫ অগাস্ট সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ-জামান বলেছিলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এখন একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হলে দেশ ছেড়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
সজীব ওয়াজেদ জয় বিবিসিকে বলেছেন, ‘অবশ্যই তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফিরবেন, যখন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’
আর রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) একটি বিবৃতি দেওয়ার এবং পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তার (শেখ হাসিনার) বাসভবনের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। তখন আর সময় ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’
জয় দাবি করেছেন, সেনাপ্রধান ও বিরোধী দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করাকে ভবিষ্যতে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাতে পারে।’
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার গত বৃহস্পতিবার ১৬ জন উপদেষ্টাসহ শপথ গ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন ছাত্রনেতাও রয়েছেন।
জয় এর আগে বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাজনীতিতে ফিরবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট।’ এর আগে জয় বলেছিলেন, শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত মাসের শুরুতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের থামাতে পুলিশের ব্যাপক দমন অভিযানের পর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের বিভিন্ন সময় ব্যাপক সহিংসতায় প্রায় একশ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। উনিশ একাত্তরের পর এত ব্যাপক সহিংসতা দেশে আর হয়নি।