সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শেখ হাসিনাকে ‘সম্মানের সাথে দেশে ফিরিয়ে আনার’ দাবিতে গোপালগঞ্জে বিক্ষাভের সময় সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় এক সেনাসদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে মিছিল করা হয়।

এ ঘটনায় ৫ সেনাসদস্য, সাংবাদিকহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া দুজন গুলিবিদ্ধের খবরও পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেলা ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচিতে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ও জালালাবাদ ইউনিয়ন এবং কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

বেলা ৩টার দিকে ওই তিন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়। তাঁরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশের গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে কর্মরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে সেনাসদস্যদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। পরে বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাসদস্যদের মারধর শুরু করলে সেনাসদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভকারীদের হামলায় সেনাসদস্যরা দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় এক সেনাসদস্যের কাছ থেকে একটি অস্ত্র নিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি, রাম দা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র বহন করছিল। 

ঘটনার পর ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করেন। পরে অস্ত্রটি গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে জমা দেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তাঁরা অস্ত্রটি নিতে অস্বীকৃতি জানালে গোপীনাথপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফের কাছে জমা দেওয়া হয়।