গণভ্যুত্থানকারী সাধারণ ছাত্র জনতার অধিবেশন অনুষ্ঠিত, ১০ করণীয়
অধিবেশন চলাকালীন একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে গণভ্যুত্থান ঘটানো সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ নিয়ে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর বাসাবো বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত অধিবেশন থেকে গণঅভ্যুত্থানকারী সাধারণ শিক্ষার্থী জনতার পক্ষ থেকে ১০টি করণীয় দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে শিক্ষার্থী সাদমান অলিভের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্যা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে বাসাবো, খিলগাঁও, মান্ডা, মুগদা, কদমতলা, মাদারটেক, রাজারবাগ, সবুজবাগ, নন্দীপাড়া, মায়াকানন, আহমদবাদ এলাকার যেসব সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ অংশ নিয়েছিলেন তাদের নিয়ে আজ বিকালে বাসাবো বালুর মাঠে একটি ‘গণভ্যুত্থানকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার অধিবেশন’ আয়োজন করে।
অধিবেশনে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা কেমন নতুন বাংলাদেশ চায় সেটি তুলে ধরেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়।
অধিবেশনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে শহীদ আশিকুল ইসলামের (১৬) বাবা রিকশাচালক ফরিদুল ইসলাম। অধিবেশন থেকে অত্র এলাকার সর্বজনের স্বার্থে গণঅভ্যুত্থানকারী সাধারণ শিক্ষার্থী জনতার পক্ষ থেকে ১০টি করণীয় দেওয়া হয়। করণীয়গুলো হলো:
১. এলাকায় পুলিশসহ কোনো গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি চলবে না। করলে সেটি সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা হবে।
২. এলাকায় ভিন্ন ধর্ম বা জাতির উপর কোনো হামলা চলবে না।
৩. নারীদের উপর কোনো যৌন নির্যাতন, হয়রানি করা হবে না।
৪. এলাকায় কোনো সন্ত্রাস, লুটপাট কিংবা অস্ত্রের মহড়া চলবে না।
৫. কথা বলার জন্য কেউ কাউকে হামলা, হয়রানি গ্রেপ্তার করা যাবে না। প্রত্যেকের কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।
৬. জোর করে বা ভয় দেখিয়ে কাউকে কোনো মিছিল সমাবেশে নেওয়া যাবে না।
৭. ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার, হয়রানি, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন চলবে না।
৮. এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
৯. কারো আত্মমর্যাদায় আঘাত করা চলবে না।
১০. কোনো স্থাপনা বা ভাস্কর্য ভাঙা চলবে না।