Logo
Logo
×

সংবাদ

পালানোর সময় বাড়তি কাপড়চোপড়ও নিতে পারেননি শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫১ এএম

পালানোর সময় বাড়তি কাপড়চোপড়ও নিতে পারেননি শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট ছোট শেখ রেহানা ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নিয়ে একটি সামরিক বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা এতো দ্রুত হাসিনার সরকারি বাসভবনের দিকে আসছিল যে তাড়াহুড়া করে পালাতে গিয়ে ব্যবহারের জন্য বাড়তি কাপড় ও নিত্যব্যবহারের জিনিসপত্রও হাসিনাসহ অন্যরা নিতে পারেননি। সরকারি একটি সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। 

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, দেশত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিল। পরে তিনি ছোটবোন শেখ রেহানা ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নিয়ে একটি সামরিক পরিবহন বিমানে করে ভারতে চলে যান। বিমানটি দিল্লির কাছাকাছি হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। 

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে আসা দলটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত ছিল। কারণ বিক্ষুব্ধ জনতা থেকে বাঁচতে তাদের খুব তাড়াহুড়ো করে বাংলাদেশ থেকে পালাতে হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ জনতা পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও ঢুকে গিয়েছিল। 

সূত্রের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে আরও জানায়, এখন যে নিরাপদ স্থানে হাসিনা ও তার সঙ্গীরা অবস্থান করছেন সেখানে তাদের প্রটোকল দিচ্ছে একদল ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী। এই প্রটোকল কর্মকর্তারা হাসিনা ও তার সঙ্গীদের কাপড়চোপড়সহ নিত্যব্যবহারের জন্য জিনিসপত্র কিনতে সাহায্য করেছেন। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অবতরণের ৪৮ ঘণ্টা পরও শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গীয় দলটিকে হিন্দন বিমানঘাঁটির কাছাকাছি নিরাপদ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। 

সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার আগ পর্যন্ত  শেখ হাসিনাকে ভারতের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের নিরাপত্তারক্ষী এবং প্রটোকল কর্মকর্তারা শেখ হাসিনা ও তার দলটিকে তাদের মানসিক চাপ ও বিপর্যস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছেন। 

শেখ হাসিনা ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে অবতরণের পর তার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকারী ব্যক্তি হলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পরে তারা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন