বালু দিয়ে বাঙ্কার বানিয়ে সেনা সদস্যদের পাহারা। ছবি: বাংলা আউটলুক
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের চারপাশে মানুষের চলাচলের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান মোতায়েন করে সাধারণের যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
গত ১৯শে জুলাই রাতে কারফিউ জারির পর থেকে গণভবনের আধা কিলোমিটার দূরত্বের সবগুলো রাস্তায় সেনাচৌকিও দেখা গেছে।
বাড়তি তল্লাশির পাশাপাশি সেনাবাহিনী গণভবনের সামনে মিরপুর রোডে ডাইভারশন দিয়ে মুহাম্মদপুরের ভেতর দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আর গণভবনকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে বালুর বাঙ্কার চোখে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের নিয়মিত পাহারার বাইরেও আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সেনাবাহিনীর ক্যামোফ্লেজ পোশাকের রং এর বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান দেখা যায়। আর তার পাশে সেনা সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়।
গত রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি না করলে ‘শ্রীলঙ্কা স্টাইলে’ গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র ছিলো।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের (বিএনপি) নৃশংসতা হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে। ক্ষমতার জন্য লন্ডনের পলাতক (তারেক রহমান)...গণ–অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেটও ওই রাতে ছিল। যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করত। এটাই তো তাদের পরিকল্পনা।