কোনোদিন ভাবতে পারিনি এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণ করা সম্ভব হলেও হারানো প্রাণ আর কখনো ফিরিয়ে আনা যাবে না। তিনি বলেন, ‘যেসব স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে সেগুলো নতুন করে নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু যেসব প্রাণ চলে গেছে তা আমরা আর কখনো ফিরে পাব না।’
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি প্রতিটি দাবি পূরণ করেছেন। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তাই আন্দোলন করার কোনো কারণই ছিল না।
তিনি বলেন, এরপরও এ ধরনের ঘটনা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটানো হলো। তারপর আন্দোলনের নামে অনেকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হলো। তিনি বলেন, 'আমি কখনো ভাবিনি যে এই সময়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এত তাজা প্রাণ ঝরে পড়বে।’ তিনি বলেন, কেউ দাবি করার আগেই সরকার সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দেশব্যাপী তাণ্ডবের সুষ্ঠু তদন্তে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছে, যাতে এই হামলার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তদন্তের পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি ইতোমধ্যে কমিটির আরও দুইজন সদস্য বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকার এরই মধ্যে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে বিদেশি সংস্থাগুলোকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, 'এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।’
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের মৎস্য খাতে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাদের ছয়টি স্বর্ণপদক, আটটি রৌপ্য পদক ও আটটি ব্রোঞ্জ পদক এবং সার্টিফিকেট দেন।