ছাগলকাণ্ডে বহুল আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মতিউর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা চলছে। ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর জুলাই মাস থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। আইআরডির একটি সূত্রে জানা গেছে, আত্মগোপনে (পলাতক) থাকা অবস্থায় তিনি অবসরের আবেদন করেন।
আইআরডির উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৩ (১) ও ধারা ৫১ অনুসারে আগামী ২৯ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তবে অবসরজনিত আর্থিক সুবিধা (অবসর উত্তর ছুটি, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, পেনশন) পাবেন না মতিউর।
মতিউর রহমান কোরবানির ঈদের আগে আলোচনায় আসেন তাঁর ছেলের কারণে। কোরবানির জন্য সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর ওই ছেলের বাবার পরিচয় ও অর্থের উৎস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ, কৌতূহল তৈরি হলে মতিউর রহমান প্রথমে মুশফিককে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করলেও পরবর্তীকালে নিশ্চিত হওয়া যায়, মুশফিক তারই ছেলে।