সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার থেকে সাধারণ সময়সূচিতে কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মজীবীরা।
সকাল থেকেই রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলতে থাকায় যানজট এড়িয়ে গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে ছুটতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।
তবে অফিস সময়সূচি স্বাভাবিক হলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বন্ধ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগের মতোই নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর তাদের নজর রাখতে দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সব অফিস নিয়মিত সময়সূচি অনুযায়ী চালানোর ঘোষণা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় বুধবার থেকে চার দিনের জন্য সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। তারপর নির্বাহী আদেশে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
গত ২৪ ও ২৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৮ থেকে ৩০ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করে সরকার।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় দেড় শতাধিক নিহত হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর। সূত্র: ইউএনবি