Logo
Logo
×

সংবাদ

হাসপাতালের তথ্য

আন্দোলনে আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন

Icon

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম

আন্দোলনে আহত ৬ হাজার ৭০৩ জন

কোটা আন্দোলন সহিংসতায় রাজধানীতে অন্তত ৬ হাজার ৭০৩ জন আহত হয়েছেন বলে ৩১ হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী প্রমাণ মিলেছে। সরকারি-বেসরকারি এসব হাসপাতালে এই আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা ১৬ থেকে ২২ জুলাই এসব হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডয়েচে ভেলে, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব খবর এসেছে।

ইটের খোয়া, লাঠি, রডের আঘাতে আহত হয়েছেন অনেকে যাদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এর বাইরে আরও অনেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক বা স্থানীয় চিকিৎসকের চেম্বারে অনেকে চিকিৎসা নিয়েছেন যাদের তথ্য নিবন্ধিত হয়নি। হাসপাতালে গিয়েছেন সাধারণত গুলিবিদ্ধ হয়ে ও গুরুতর হওয়া লোকজন। কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়েও গিয়েছেন। তাছাড়া সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছেন অনেকে। সাউন্ড গ্রেনেডে অনেকেরই শ্রবণক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আন্দোলনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তাছাড়া ব্যাপক সংঘর্ষ হয় উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, বছিলা, ধানমন্ডি এলাকায়। আহত ব্যক্তিরা এসব এলাকার কাছের হাসপাতালে প্রথমে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, ২২টি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৫৯৩ জন। সবচেয়ে বেশি গিয়েছিলেন রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে।

গত ২৩ থেকে ২৭ জুলাই রাজধানীর মোট ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন সাংবাদিকরা। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতাল ৯টি, বাকি ২৯টি বেসরকারি হাসপাতাল। ৭টি বেসরকারি হাসপাতাল তথ্য দেয়নি। সেই হিসেবে আহতদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

আহতদের একটি অংশ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। একটু গুরুতর রোগীকে এক বা দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। এখনো অনেক রোগী হাসপাতালে আছেন। আহতদের কেউ কেউ হাসপাতালেও মারা গেছেন।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মেজর (অব.) মো. হাফিজুল ইসলাম বলেছেন, ২৩ জুলাই বিকেলে তাদের হাসপাতালে রোগীর ঢল নেমেছিল। সবার তথ্য রাখা সম্ভব হয়নি।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ছিলেন ২৩১ জন। হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয় ৫৩৭ জনকে। তার মানে ৪২ শতাংশ রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২৩ জুলাই তাদের হাসপাতালে ১ হাজার ৭১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

তাছাড়া বেশি রোগী ছিল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী প্রভৃতি বড় হাসপাতালে। সরকারি নয়টি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ১১০ জন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন