আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় নানকের আসনের ২৭টি ইউনিট কমিটি ভেঙে দিল আ.লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে টানা কয়েক দিন সংঘর্ষ হয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বসিলায়। দল থেকে মাঠে থাকার নির্দেশনা থাকলেও আন্দোলন মোকাবিলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাই ব্যর্থতার দায়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঢাকা-১৩ আসনের তিন থানা ও আট ওয়ার্ডের অন্তর্গত ২৭টি ইউনিট শাখা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আন্দোলন মোকাবিলায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য ঢাকা-১৩ নির্বাচনী এলাকার তিন থানা ও আট ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ২৭টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করেছি। ভেঙে দেওয়া এসব কমিটি গঠনের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর ওই তিন থানা ও আট ওয়ার্ডসহ ঢাকা মহানগর উত্তরের সকল থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করে তারা গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির জমা দিয়েছেন।
তবে ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনের থানা ও ওয়ার্ড কমিটির প্রস্তাবিত নেতাদেরও মাঠে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলা নগর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকা গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল। তাদের মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। মাঠে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। সাংগঠনিক দুর্বলতায় সরকার বিরোধীরা আধিপত্যের সুযোগ পেয়েছিলেন বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এমনকি সকল ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা আন্দোলন মোকাবিলায় সরাসরি অংশ নেননি বলেও অভিযোগ ওঠে।
এদিকে গত রোববার থেকে মোহাম্মদপুর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বস্ত্র মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কারফিউ ও সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করেেছন। গত বুধবার মোহাম্মদপুরের টাউন হল মোড় ও আদাবরে খাবার বিতরণের সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে দেখা যায়। তাঁদের রাজপথ না ছাড়ার নানান স্লোগান দিতেও দেখা যায়।