পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল দিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় ঢুকতে বাধা দিতে দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের গুলিবর্ষনে ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমাবেশ রয়েছে। এ জন্য বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শহীদ মিনারের কাছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা চানখাঁরপুল মোড়ে অবস্থা নেন।

বিকেল ৪টার দিকে শহীদ মিনারের সামনের সড়ক দিয়ে গুলিস্তানের দিকে একটি যাত্রীবাহী মিনিবাস যাওয়ার সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাসটি থামান। তাঁরা বাসের ভেতরে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কয়েকজনকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে তাঁদের সন্দেহ হয়। এতে আন্দোলনকারী ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে বাসটি ভাঙচুর করেন। ওই সন্দেহভাজনদের বাস থেকে নামিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের ভেতর নিয়ে যান।

এদিকে ওই ঘটনার পর কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের দলটি ছাত্রদের ওপর হামলা করে। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর কয়েকটি হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এরপর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহীদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা চানখাঁরপুলের সড়কের ওপার অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন।