Logo
Logo
×

সংবাদ

ঢাকায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কোকাকোলার ডিলারকে হত্যা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

ঢাকায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কোকাকোলার ডিলারকে হত্যা

রাজধানীর কদমতলীর পাটেরবাগ এলাকায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কোকাকোলা বেভারেজ কোম্পানির একজন ডিলারকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কোকাকোলা কোম্পানিরর ওই ডিলারের নাম মোহাম্মদ  মাহবুব আলম (৫০)। কদমতলীর দক্ষিণ ধনিয়ার বাসিন্দা মৃত আবুল হাসেম সোলাইমান ছেলে তিনি। দুই কন‍্যা সন্তানের জনক ছিলেন মাহবুব আলম।

নিহতের ভাই রফিকুল আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। এখানে এসে আমার ভাইয়ের মৃতদেহ টলির ওপর দেখতে পাই। তিনি আরও বলেন, যতোটুকু শুনেছি, আমার ভাই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে ধনিয়া পাটেরবাগ জমিদার গলির সামনে কে বা কারা তাকে কুপিয়েছে। পরে গুরতর আহত অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া এগারোটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবু কালাম বাংলা আউটলুককে জানান, লোকটিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারা করেছে এবং কেন করেছে সে বিষয়ে তারা তদন্ত করছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উপপরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় কদমতলী থানার পাটেরবাগ আহলে হাদিস মসজিদের পাশে জমিদার বাড়ির গলির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি হত‍্যা কাণ্ড। কে বা কারা এই ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করে চলে গেছে।পরে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন। 

২০১৫ সালের শেষ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অসংখ্য উগ্রবাদী আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এসব ক্ষেত্রে চাপাতির বহুল ব্যবহার দেখা যায়। বিশেষত ঘাড়ে কুপিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করে আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের গলা জবাই করে হত্যা করার নজির রয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এখনো কোনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া না গেলেও সে সময়কার ঘটনার সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। 

বাংলাদেশে গত মাসের পর থেকে কোকাকোলার বিরুদ্ধে প্রচারণা চলছিল। যারা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল কোকাকোলা গাজায় ইসরায়েলের হামলারদাতা হিসেবে কাজ করছে।  

কোকাকোলা বাংলাদেশ পরবর্তীতে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে বলা সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলে কোকাকোলার বিরুদ্ধে বেশি মাত্রায় প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়। নেটিজেনরা কোকাকোলার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়।  

বাংলাদেশের দীর্ঘদিন ধরে কোকাকোলা জনপ্রিয়তা ছিল। তবে ইসরায়েলের সাথে এর সরাসরি সম্পর্ক আছে এমন একটি প্রচারণা কারণে বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক হারে কমেছে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন