আফ্রিকার গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিল চীন?
দুই দেশের নেতার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট। ছবি: সংগৃহীত
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে দেশটিতে তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফর শেষে গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বেইজিং থেকে ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে চীনের কাছে বাংলাদেশের চাওয়ার পাওয়ার কমই পূরণ হয়েছে। নামমাত্র কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। অথচ ৯১ জনের বিশাল বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর গিয়েছিলেন। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা পাবে এই সফর দিয়ে—এমনটা আশাও করা হয়েছিল। বাংলাদেশ বড় ধরনের ঋণ পাবে সে আশাও করা হয়েছিল। কিন্তু আপাতত সেই আশায় গুড়েবালি। ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চেয়ে বাংলাদেশ পাচ্ছে মাত্র ১ বিলিয়ন ইউয়ান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর যে কাঙ্ক্ষিত হচ্ছে না, বলা যায় তা প্রথম টের পাওয়া যায় পূর্বঘোষিত চারদিনের সফর যখন সফর চলাকালীনেই তিনদিনে নামিয়ে আনা হয়। সরকারি সফরে সাধারণত খুব সচেতনতভাবেই শিডিউল ঠিক করা হয়। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে শিডিউলে পরিবর্তন হয়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যও দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর থেকে কি পাওয়া গেল তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর শেষে যেমন সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন, এবারও তাই করবেন।
এই তো গেল বাংলাদেশের দিক থেকে কথা। কিন্তু চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরকে কিভাবে দেখেছে? অন্তত দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে? কারণ বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে ‘প্রতিযোগিতার’ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার এই সফর চীনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়েছিল। চীন শেখ হাসিনার এই সফরকে কিভাবে দেখছে সম্ভবত তার একটা নমুনা দেখা যায় চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার দুটি ফটো ফিচার স্টোরি থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বেইজিং ছিলেন, ঠিক সেসময় (১০ জুলাই) সস্ত্রীক বেইজিং সফর করছিলেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো। দুই নিউজেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা বলা হয়। একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘শি মিটস বাংলাদেশি পিএম’, অন্যটির শিরোনাম ছিল ‘শি হোল্ডস টকস উইথ গিনি-বিসাউ প্রেসিডেন্ট’।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে খবরটিতে বলা হয়: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর নিচের ছবি দুটি দেওয়া হয়। ছবি দুটিতে একই ক্যাপশন ব্যবহার করা হয়।
ক্যাপশন : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।
ক্যাপশন : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।
অন্যদিকে, গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোর সঙ্গে বৈঠকে নিউজে ছয়টি ছবি ছাপে সিনহুয়া। যদিও টেক্সট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউজের মতোই ছোট। বলা হয়: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার বেইজিংয়ে গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।এই ছবির ক্যাপশন দেওয়া হয় : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকের আগে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের পূর্ব গেটের বাইরে স্কয়ারে গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে স্বাগত জানিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এমবালো রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে আছেন। তাদের আলোচনার আগে গ্রেট হল অফ দ্য পিপলের পূর্ব গেটের বাইরে স্কোয়ারে। বেইজিং, চীনের রাজধানী। শি বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এমবালোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ক্যাপশন : রাজধানী বেইজিংয়ে আলোচনার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার স্ত্রী পেং লিয়ুয়ান গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো এবং তার স্ত্রী দিনিসিয়া রেইস এমবালোর সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন। শি বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা এমবালোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ক্যাপশন : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকের আগে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের পূর্ব গেটের বাইরে স্কয়ারে গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে স্বাগত জানিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এমবালো রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে আছেন। তাদের আলোচনার আগে গ্রেট হল অফ দ্য পিপলের পূর্ব গেটের বাইরে স্কোয়ারে। বেইজিং, চীনের রাজধানী। শি বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এমবালোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ক্যাপশন : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকের আগে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের পূর্ব গেটের বাইরে স্কয়ারে গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে স্বাগত জানিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এমবালো রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে আছেন। তাদের আলোচনার আগে গ্রেট হল অফ দ্য পিপলের পূর্ব গেটের বাইরে স্কোয়ারে। বেইজিং, চীনের রাজধানী। শি বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এমবালোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ক্যাপশন : চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ক্যাপশন : রাজধানী বেইজিংয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা গিনি-বিসাউ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোর সঙ্গে করমর্দন করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার শি বেইজিংরে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এমবালোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনার পর তারা একাধিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন।