কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা যৌক্তিক বলে মনে করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব কোটা মিলিয়ে ৫ শতাংশ কোটাকে যুক্তিযুক্ত মনে করি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালের সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন 'বাংলা ব্লকেডের' আওতায় বুধবার ৬৪ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ ঘোষণা দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদসহ প্রমুখ। 

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, চার দফা নয়, আমাদের এখন দাবি একটা। তা হলো, সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। আর সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে। 

নাহিদ ইসলাম সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সারাদেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাননের সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো অবরোধ করবেন।

এদিকে আন্দোলনের অন্যতম আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সরকারকে নির্বাহী বিভাগ থেকে কমিশন গঠনের মাধ্যমে আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। তাহলে আমরা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসরুমে ফিরে যাবো। তা না হলে যাবো না।