Logo
Logo
×

সংবাদ

অর্থপাচার

বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে ঢুকতে চায় সিআইডি

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে ঢুকতে চায় সিআইডি

সিআইডির গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

অর্থপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন ড্যাশবোর্ডে প্রবেশাধিকার চাইছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রবিবার (৩০ জুন) সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া এই দাবি তুলেন। ‍

এদিন, সিআইডি সদর দপ্তরে 'চ্যালেঞ্জিং অব কন্ট্রোলিং ইলিগ্যাল মানি ট্রান্সফার থ্রু মোয়াইল অ্যাপস: আ স্টাডি অন অনলাইন গ্যাম্বলিং'— শীর্ষক গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন। 

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, ’ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়টি মনিটর করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা যেই লিংক বা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে লেনদেন মনিটর করে, সেই ড্যাশবোর্ডে সিআইডির কোনো ব্যক্তির প্রবেশাধিকার থাকলে, সন্দেহজনক লেনদেন দেখা মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। ড্যাশবোর্ডে প্রবেশাধিকার নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আশা করি, বাংলাদেশ ব্যাংক রাজি হবে। অন্যথায় ফিনান্সিয়াল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না।’

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘প্রবাসীদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে ঢুকছে না। এগুলো দুবাইসহ অন্য সব দেশে থেকে যাচ্ছে। সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী এজেন্টগুলো বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে টাকা নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর নগদ, বিকাশ, রকেট বা উপায়কে দিয়ে ই-মানি করে বিতরণ ককরছে।’

এ সময় তিনি, সন্দেহজনক লেনদেন বা ই-মানি ট্রানজেকশন অপরাধের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটরগুলোকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

এমএফএস (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস) প্রতিষ্ঠানগুলো এজেন্টের টাকার সোর্স এবং উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখে না দাবি করে সিআইডিপ্রধান বলেন, ‘আমরা এজেন্টদের সোর্স অব ইনকাম, কেন বেশি টাকা ই-মানি করতে চাইছে? এটা কি বৈধ, না–কি অবৈধ আয়ের টাকা? বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্লক করে দিয়ে বাংলাদেশি টাকা বাংলাদেশেই সার্কুলার করা হচ্ছে কি–না– বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’

এদিকে, গবেষণাটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত অর্থপাচারের বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করি। আইনি জটিলতার কারণে জুয়ার মাধ্যমে অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। সেই সময় আমরা গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করি। প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন— অনলাইন জুয়া, এমএফএস-র অপব্যবহার, মানিলন্ডারিং মামলার তদন্তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন