হঠাৎ করে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে। এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। লোডশেডিং দেখা দিয়েছে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে। 

আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। এই কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। তবে দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। আর গতকাল শুক্রবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। 

এদিকে আগে থেকেই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বন্ধ ছিল। ত্রুটি অনুসন্ধানে সেখানে কাজ করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ পুনরায় উৎপাদন শুরু হবে সেটি জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কবে নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে ফিরবে সেটি কর্তৃপক্ষ এখনো জানাতে পারেনি। তবে আগামী ৫ জুলাই আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসার কথা আছে। 

গত বছরের মার্চে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। তবে ঝড়ের কারণে জুনেই রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। পরে ত্রুটি ঠিকঠাক করা হয়। এরপর উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির। 

এদিকে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায়। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদনসক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে। 

অপরদিকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়।